যাকাত-Jakat
ঈমান ও সালাতের পরেই যাকাত
যাকাত এটি ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। অনেক ইবাদতই কুরআন কারীমে মাত্র দুই চারবার উল্লেখিত হয়েছে। যেমন- সাওম, হজ ইত্যাদি। আবার কিছু এবাদত অনেক বেশি বার উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- সালাত ও যাকাত। কুরআনে একবার বললেই ফরজ হয়ে যায়। বারবার বলার অর্থ গুরুত্ব বুঝানো। সালাতের পরে সবচেয়ে বেশি যাকাতের কথা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা সাধারণত দিনের সবচেয়ে বড় কাজ বুঝাতে বলি নামাজ-রোজা। কিন্তু কুরআনে কোথাও নামাজ-রোজা বলা হয়নি। বরং সব সময় বলা হয়েছে সালাত-যাকাত। যাকাত হলো সালাতের পরেই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরয ইবাদত। যাকাত না দেওয়া কাফেরদের বৈশিষ্ট্য ও জাহান্নামের শাস্তির অন্যতম কারণ।
মহান আল্লাহ বলেন:
ويل للمشركين الذين لا يؤتون الزكاة وهم بالآخرة هم كافرون-
“ধ্বংস মুশরিকদের জন্য, যারা যাকাত প্রদান করে না। আর যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না।” (সূরা ফুসসিলাত, আয়াত ৬-৭)
কুরআনে বলা হয়েছে, প্রশ্ন করা হবে কি জন্য তোমরা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করছো? তারা তাদের কুফরির কথা উল্লেখ করবে এবং সাথে সাথে নামাজ ও যাকাত ত্যাগের কথা বলবে। তারা বলবে:
لم نك من المصلين ولم نكن نطعم المسكين-
“আমরা সালাত আদায়কারীগণের মধ্যে ছিলাম না। আর আমরা দরিদ্রগণকে খাওয়াতাম না।” (সূরা মোদ্দাসসির, আয়াত ৪২-৪৩)
আমরা মনে করি, বৈধ-অবৈধভাবে মাল-বৃদ্ধি করলে এবং সঞ্চয় করলেই সম্পদশালী হলাম। কিন্তু আল্লাহ বলেন উল্টো কথা। বিয়ে করলে আল্লাহ বৃদ্ধি করেন। আপনি দুইয়ে দুইয়ে চার গুনেছেন। কিন্তু কার জন্য করলেন? আপনার জন্য, না সন্তানদের জন্য। আল্লাহ বরকত নষ্ট করে দিলে কিছুই থাকবে না। কিভাবে বরকত নষ্ট হবে তা আপনি বুঝতেও পারবেন না। আল্লাহ তার ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।
মহান আল্লাহ বলেন,
يمحق الله يمحق الله الربا ويربى الصدقات-
আল্লাহ সুদের বৃদ্ধিকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করেন। আর সাদাকা বা যাকাতকে বৃদ্ধি করেন। (সূরা বাকারা, আয়াত নম্বর-২৭৬)
মহান আল্লাহ আরো বলেন,
وما آتيتم من ربا ليربوا في أموال الناس فلا يربو عند الله وما آتيتم من زكاة تريدون وجه الله فأولئك هم المضعفون-
“এবং তোমরা মানুষের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য যে বৃদ্ধি (সুদ) প্রদান কর তা আল্লাহর নিকট বৃদ্ধি পায় না। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তোমরা যা (যাকাত) প্রদান কর সেই যাকাতই হল বহু গুণ বৃদ্ধিকারী।”
এছাড়াও রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম হাদিসে এরশাদ করেছেন,
ثلاث من فعل فعلهن فقد طعم طعم الإيمان من عَبَدَ اللهَ من عباد الله وَحْدَه و(علِم) أنه لآ إله إلا الله وأعطى زكاةَ مالِه طيبة بها نفسُه -
যে ব্যক্তি তিনটি কাজ করবে সে ঈমানের স্বাদ ও মজা লাভ করবে। (১) আল্লাহর এবাদত করবে (২) জানবে যে আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং (৩) আনন্দিত চিত্তে পবিত্র মনে তার সম্পদের যাকাত প্রদান করবে (সুনানে আবু দাউদ দ্বিতীয় খন্ড ১০৩ নাম্বার হাদিস)
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আরো এরশাদ করেছেন,
ثلاث أحلف عليهن لا يجعل لا يجعل الله عز وجل من له سهم في الإسلام كمن لا سهم له الإسلام ثلاثة الصلاة والصوم والزكاة -
রাসূল (স) বলেন, তিনটি বিষয়ে আমি শপথ করে বলছি:
“যে ব্যক্তির ইসলামে অংশ আছে আর যার ইসলামে কোন অংশ নেই দুজনকে আল্লাহ কখনোই সমান করবেন না। ইসলামের অংশ তিনটি হলো- সালাত, সিয়াম এবং যাকাত।” (মুস্তাদরাক আল হাকেম, প্রথম খন্ড ৬৭ নাম্বার হাদিস)
من أدى زكاة ماله فقد ذهب عنه شره-
“যে তার সম্পদের যাকাত প্রদান করে, তার সম্পদের অকল্যাণ ও অমঙ্গল দূর হয়ে যায়।” (মাযমাউয যাওয়াইদ, তৃতীয় খন্ড ৬৩ নম্বর হাদিস)
এমর্মে রাসূল (সা) আরো বলেন:
وأما أول صلاة لا ثلاثه يدخلون النار فأمير مسلط وذو ثروة من مال لا يؤدي حق الله في ماله وفكروا فجور-
প্রথম যে তিন ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তাদের ১ নম্বর স্বেচ্ছাচারী শাসক বা প্রশাসক, ২ নাম্বার সম্পদশালী ব্যক্তি যে তার সম্পদ আল্লাহর অধিকার (যাকাত) প্রদান করার নির্দেশ রয়েছে সেটা করেনি এবং ৩ নাম্বার হল পাপাচারে লিপ্ত দরিদ্র ব্যক্তি। (সহিহ ইবনে হিব্বান দশম খন্ড ৫১৩ নম্বর হাদিস)
যাকাত প্রদান থেকে যে মুসলিম বিরত থাকে বা যাকাত দিতে তালবাহানা ও দ্বিধা করে তাকে হাদিসে অভিশপ্ত বা মালাউন বলা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
آكِلُ الربا وموكله وكاتبه وشاهده عملوا به والواشمة والمستوشمة للحسن ولاوي صناعة والمرتد أعرابيا بعد بعد هجرته ملعونون ملعونا على لسان محمد صلى الله عليه وسلم يوم القيامة -
“সুদ গ্রহণকারী, সুদ প্রদানকারী, সুদের লেখক, সুদের সাক্ষীদয়- যদি তা জেনে শুনে করে, সৌন্দর্যের জন্য যে নারী নিজের দেহে উল্কি কাটে অন্যের দেহে উল্কি কেটে দেয়, যাকাত প্রদানে যে ব্যক্তি তালবাহানা করে বা বিরত থাকে এবং হিজরত করার পরে আবার যে ব্যক্তি বেদুইন জীবনে ফিরে যায় তারা সকলেই কেয়ামতের দিন মোহাম্মদ সাঃ এর জবানিতে অভিশপ্ত মালাউন।” (আহমদ, প্রথম খন্ড ৪০৯ নাম্বার হাদিস)
যারা জাকাত না দিয়ে সম্পদ জমা করে রাখে তাদের বিষয়ে আল্লাহ বলেন,
ولا يحسبن الذين يرحلون بما آتاهم الله من فضله هو خير لهم بل هو شر لهم سيطوقون ما بخلوا به يوم القيامة -
“আল্লাহ অনুগ্রহ করে যে সম্পদ দান করেছেন সেই সম্পদ নিয়ে যারা কৃপণতা করে, তারা যেন কখনোই মনে না করে যে, তাদের এই সম্পদ তাদের জন্য কল্যাণবহ বা উপকারী, বরং তা তাদের জন্য ক্ষতিকর। তাদের কৃপণতা করে সঞ্চিত সম্পদ কেয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী হয়ে যাবে।” (সূরা আল ইমরান আয়াত নম্বর ১৮০)
হাদিসের আলোকে জানা যায় যে, কিছু কঠিন পাপ আছে যেগুলির শাস্তি শুধু আখিরাতেই নয়, দুনিয়াতেও ভোগ করতে হয়। বিশেষত যে পাপগুলি মানুষের অধিকারের সাথে জড়িত এবং যে পাপের ফলে অন্য মানুষ কষ্ট পায় বা সমাজের ক্ষতি হয়। এরূপ পাপ যদি সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তবে আল্লাহ সে সমাজে গজব দেন এবং সমাজের সকলেই সে শাস্তি ভোগ করবে। যাকাত প্রদানে তালবাহানা সে সকল পাপের অন্যতম।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لم تظهرِ الفاحشة في قوم قط حتى يُعلنوا بها إلا فشا فيهم الطاعون والأوجاع التي لم تكن مضت في أسلافهم الذين مضوا ولم ينقصوا المكيال والميزان إلا أُخذوا بالسنين وشدة منعونة وجور السلطان عليهم ولم يمنعوا زكاة أموالهم إلا مُنعوا القطرة من السماء ولولا البهائم لم يُمطروا ولم ينقضوا عهدَ الله وعهدَ رسولِه إلا سلَّطَ اللهُ عليهم عدوا من غيرهم فأخذوا بعض ما في أيديهم وما لم تحكم ائمتُهم بكتاب الله ويتخير مما أنزل الله إلا جعل الله بأسهم بينهم-
“(১) যখন কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে অশ্লীলতা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে তারা প্রকাশ্যে অশ্লীলতায় লিপ্ত হতে থাকে, তখন তাদের মধ্যে এমন সব রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে যা তাদের পুরো পুরুষদের মধ্যে প্রসারিত ছিল না।
(২) যখন কোন সম্প্রদায়ের মানুষেরা ওজনে কম বা ভেজাল দিতে থাকে, তখন তারা দুর্ভিক্ষ, জীবনযাত্রার কাঠিন্য ও প্রশাসনের বা ক্ষমতাশীলদের অত্যাচারের শিকার হয়।
(৩) যদি কোন সম্প্রদায়ের মানুষেরা যাকাত প্রদান না করে, তাহলে তারা অনাবৃষ্টির শিকার হয়। যদি পশুপাখি না থাকতো তাহলে তারা বৃষ্টি থেকে একেবারেই বঞ্চিত হতো।
(৪) যখন কোন সম্প্রদায়ের মানুষ আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের ওয়াদা বা আল্লাহর নামে প্রদত্ত ওয়াদা ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের কোন জাতীয় শত্রুকে তাদের উপর ক্ষমতাবান করে দেন, যারা তাদের কিছু সম্পদ নিয়ে যায়।
(৫) আর যদি কোন সম্প্রদায়ের শাসকবর্গ নেতাগণ আল্লাহর কিতাব (আল কুরআন) অনুযায়ী বিচার বা শাসন কার্য না করেন এবং আল্লাহর বিধানের সঠিক ও নেয়ামত প্রয়োগের জন্য সাধারনত চেষ্টা না করে, তখন আল্লাহ তাদের মধ্যে পরস্পরের শত্রুতা ও মতবিরোধ সৃষ্টি করে দেন, তারা তাদের বীরত্ব একে অপরকে দেখাতে থাকে।” (সুনানে ইবনু মাজাহ, ২/১৩৩২)
মূলত পাঁচ প্রকার সম্পদের যাকাত প্রদান করা ফরয:
(১) বিচরণশীল উট, গরু, ছাগল ইত্যাদি গৃহপালিত পশু,
(২) সোনা-রুপা
(৩) নগদ টাকা
(৪) ব্যবসা বা বিক্রয়ের জন্য রক্ষিত দ্রব্য ও
(৫) কৃষি উৎপাদন বা ফল ও ফসল।
স্বর্ণ: যদি কারো নিকট সাড়ে ৭ তোলা (ভরি) বা তার বেশি স্বর্ণ থাকে তবে প্রতি চান্দ্র বছর পূর্তিতে মোট স্বর্ণের ২.৫% যাকাত প্রদান করতে হবে।
রুপা: যদি কারো কাছে সাড়ে বায়ান্ন তোলা বা তার বেশি রুপা থাকে তবে পতি চন্দ্র বৎসরে মোট রুপার ২.৫% যাকাত প্রদান করতে হবে।
নগদ টাকা: নগদ টাকার নিসাব হবে স্বর্ণ বা রুপার নিসাবে।
ভুমিজাত ফল ও ফসল: ফল-ফসলের যাকাতকে উশর বলা হয়। ভুমি ব্যবহার করে উৎপাদিত সকল প্রকারের ফল, ফসল, মধু, লবণ ইত্যাদির যাকাত দিতে হবে। ফল ফসলের যাকাত দিতে হয় প্রতি মৌসুমী ফল-ফসল ঘরে উঠালে।
হাদিস শরীফে ফল ফসলের নিসাব বলা হয়েছে পাঁচ ওয়াসাক। অর্থাৎ প্রায় ২৫ মণ। তবে ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহ বলেছেন যে কমবেশি সব ফল ফসলেরই যাকাত দিতে হবে।
ফল-ফসলের যাকাতের পরিমাণ হলো ৫% বা ১০%। অর্থাৎ বৃষ্টির পানিতে ফসলের যাকাত, স্বাভাবিক মাটির রসে যে সকল ফসল বা ফল হয় তা থেকে ১০% যাকাত দিতে হবে। আর সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত ফল ফসলের ৫% যাকাত দিতে হবে। ফসলের মূল্যও প্রদান করা যায়।
কিন্তু ফল ফসলের যাকাত আমরা প্রদান করি না। ফল-ফসলের যাকাত যে ফরজ এ কথাটি অনেক দ্বীনদার মুসলমান জানেন না। কেউ চিন্তা করেন ট্যাক্স বা খাজনা ইত্যাদি দেওয়ার পরে আর কিভাবে যাকাত দেব? এমন চিন্তা করলে তো আর ব্যবসায়ের যাকাত দেওয়া লাগে না। সরকারের ট্যাক্স, ভ্যাট, দোকান ভাড়া দিতে হয়? কেউ মনে করেন, ইসলামী রাষ্ট্র নয় কাজেই ফসলের যাকাত লাগবে না। আমাদের দেশ ইসলামী কি-না তা অন্য প্রশ্ন। তবে ইসলামী রাষ্ট্র না হলেই যদি ফসলের যাকাত হয় তাহলে টাকা পয়সার জাকাতও তো মাফ হওয়া দরকার, তাই নয় কি?
মহান আল্লাহ বলেন,
يآ أيها الذين آمنوا أنفقوا من طيبات ما كسبتم ومما أخرجنا لكم من الأرض-
“হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের পবিত্র উপার্জন থেকে খরচ করো (যাকাত প্রদান কর) এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যা বের করেছি তা থেকে (যাকাত) প্রদান কর।” (সুরা বাকারা আয়াত নম্বর ২৬৭)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন,
وآتوا حقَّه يومَ حصاده -
“এবং ফল-ফসল কর্তনের দিন তার পাওনা (দরিদ্রবনের অধিকার বা যাকাত) পরিষদ কর।” (সূরা আনাম আয়াত নম্বর ১৪১)
এছাড়া অগণিত হাদীসে বারংবার ফল-ফসলের যাকাত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুরআন বা হাদীসে কোনভাবে বলা হয় নি যে মুমিনের কোন জমির ফল ও ফসলের যাকাত দিতে হবে না। তবে যদি তিনটি শর্ত থাকে তাহলে হানাফি মাযহাবে উশর বা ফসলের যাকাত না দিলেও চলে। তা হল (১) ইসলামিক পদ্ধতিতে খারাজি জমি হতে হবে, (২) খারাজের পরিমাণ ইসলামী পদ্ধতিতে নির্ধারিত হতে হবে। এবং (৩) কোন ইসলামী রাষ্ট্র সেই নির্ধারিত খারাজ গ্রহণ করে ইসলামী পদ্ধতিতে ব্যয় করবে। এ তিনটি শর্ত আমাদের দেশে কোথাও পাওয়া যায় না।
যাকাত কাদেরকে দিবেন?
সকল প্রকার যাকাত মূলত দরিদ্রদের পাওনা। তবে কুরআনে উহা ৭ শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেন,
إنما الصدقات للفقراء والمساكين والعاملين عليها والمؤلفة قلوبهم وفي الرقاب والغارمين وفي سبيل الله وابن السبيل فريضة من الله والله عليم حكيم -
“নিশ্চয় সাদাকা (যাকাত) শুধুমাত্র (১) অভাবিদের জন্য, (২) সম্বলহীনদের জন্য, (৩) যারা এ খাতে কর্ম করে তাদের জন্য, (৪) যাদের অন্তর আকর্ষিত করা উচিত তাদের জন্য, (৫) দাস মুক্তির জন্য, (৫) ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৬) আল্লাহর রাস্তায় এবং (৭) মুসাফিরদের জন্য। আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারণকৃত। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী। (সূরা তাওবা আয়াত নম্বর ৬০)
উল্লেখ্য, মাসজিদ-মাদ্রাসায় যাকাত দেওয়া যাবে না। তবে যদি কোন মাদরাসায় এতিম-অসহায় শিক্ষার্থী থাকে এবং তাদের ভোরণ-পোষণের দায়িত্ব মাদরাসা বহন করে কেবল তাদের তহবিলে যাকাত দেয়া যাবে। দু:খের বিষয় যে, বেশির বা মাদরাসায় যাকাতের আলাদা ব্যবস্থা বা তহবিল থাকে না, বরং আ’মভাবে সকলে তা ভোগ করে যা মোটেও উচিত নয়। যেখানে যাকাতের আলাদা তহবিল থেকে থাকে তাহলে আপনাদের টাকা ও ফসলের উশর সেখানে দেবেন। এতে যাকাত আদায় ছাড়াও ইলম প্রচারের অতিরিক্ত সওয়াব হবে ইনশা-আল্লাহ! অনুরূপভাবে দ্বীনদার দরিদ্র মানুষকে দিলে যাকাত আদায় ছাড়াও দ্বীন পালনে সহযোগিতা করার আলাদা সাওয়াব হবে।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন। আ- মী-ন!
Visit Our English Site : Click Here
Thanks for reading. جزاك الله خيرا
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
সুবহানাল্লাহ
ধন্যবাদ।
Alhamdulilla