প্রার্থনা সূচক দো‘আ
বাচ্চাদের জন্য পরিত্রাণ চাওয়ার দো‘আ
ইব্নু ‘আব্বাস্ (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছা) হাসান্-হুসাইনের জন্য নিম্নোক্তভাবে পরিত্রাণ চাইতেন:
أُعِيذُ كُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ.
অর্থ- প্রত্যেক শয়তান হতে আল্লাহর পূর্ণ কালেমা দ্বারা তোমাদের দু’জনের জন্য পরিত্রাণ চাচ্ছি। আর পরিত্রাণ চাচ্ছি প্রত্যেক বিষাক্ত কীট হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর চক্ষু হতে। (ছহীহ্ বুখারী, হা/৩৩৭১)
অভাব, স্বল্পতা ও আপমান হতে পরিত্রাণের দো‘আ
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ وَالْقِلَّةِ وَالذِّلَّةِ وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ أَنْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلِمَ.
অর্থ- হে আল্লাহ্ আমি তোমার নিকট অভাব, স্বল্পতা ও অপমান হতে আশ্রয় চাই, আরো আশ্রয় চাই অত্যাচার করা ও অত্যাচার হওয়া থেকে। (আবূ দাঊদ হা/১৫৪৪)
দান-ছাদ্ক্বা প্রদানকারী জন্য দো‘আ
আব্দুল্লাহ্ ইবনু আবী আওফা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছা)-এর সামনে কেউ ছাদ্ক্বাহ্ নিয়ে আসলে তিনি বলতেন, اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ অর্থ- হে আল্লাহ্! তার উপর রহমত বর্ষণ কর। (ছহীহ্ বুখারী, হা/৬৩৫৯)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছা) বলতেন, بَارَكَ اللهُ لَكَ فِي أهْلِكَ وَمَالِكَ অর্থ- আল্লাহ্ তোমার সম্পদ ও পরিবারবর্গে বরকত দান করুন। (ছহীহ্ বুখারী,হা/২০৪৯)
শিরক থেকে বাঁচার দো‘আ
শিরক থেকে বাঁচার জন্য রাসূল (ছা) বলতেন,
اَللَّهُمَّ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ وَأسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ.
অর্থ- হে আল্লাহ্! আমি চরিত্র, কর্ম ও প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই। (ছহীহুল জামে‘, হা/৬০৪৪)
অন্তরকে পাপ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখার দো‘আ
অন্তরকে পাপ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নবী (ছাঃ) বলতেন,
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِن مَنْكَرَاتِ الْأخْلَاقِ وَالْأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ.
অর্থ- হে আল্লাহ্! আমি চরিত্র, কর্ম ও প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই। (তিরমিযী, হা/৩৫৯১)
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ بَصَرِيْ وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِيْ مِنْ شَرِّ مَنِيِّيْ.
অর্থ- হে আল্লাহ্! আমি আশ্রয় চাই আমাদের কর্ণ, আমাদের চক্ষু, আমাদের জিহবা ও আমাদের অন্তরের অনিষ্ট হতে এবং আমার শুক্রাণু অবৈধ স্থানে পতিত হওয়া থেকে। (আবূ দাঊদ,হা/১৫৫১)
অন্তরকে সবসময় আল্লাহর আনুগত্যে রাখার দো‘আ
اَللَّهُمَّ مُصَرِّفُ الْقُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ.
অর্থ- হে অন্তর পরিবর্তনকারী আল্লাহ্! আমাদের অন্তরকে তোমার আনুগত্যের প্রতি পরিবর্তন কর। (ছহীহ্ মুসলিম, হা/২৬৫৪)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (ছা) বেশী বেশী বলতেন,
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبَ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ.
অর্থ- হে পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখ। (তিরমিযী, হা/২১৪০)
শাসকের অত্যাচারে পঠিতব্য দো‘আ
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা) বর্ণনা করেছেন, তোমাদের কেউ নিজের উপর শাসকের স্বৈরাচার বা অত্যাচার আশঙ্কা করলে সে যেন বলে,
اَللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ كُنْ لِى جَارًا مِنْ فُلَانِ بْنِ فُلَانِ وَأَخْزَأبِهِ مِنْ خَلَائِقِكَ أَنْ يُفْرُطُ عَلَىَّ أَحَدٌ مِّنْهُمْ أَوْ يُطْغى عَزَّ جَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ وَلَا اِلَهَ إِلّا أَنْتَ.
অর্থ- হে আল্লাহ্! সাত আসমানের প্রতিপালক, মহান আরশের অধিপতি। তুমি আমার প্রতিবেশী হও। তোমার সৃষ্টিকুলের মধ্যে অমুকের বিরুদ্ধে, তার বাহিনীর বিরুদ্ধে যাতে তাদের কেউ আমার প্রতি বাড়াবাড়ি বা অবিচার করতে না পারে। তোমার প্রতিবেশী মহিমান্বিত। তোমার প্রশংসা মহিমান্বিত এবং তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। (আদাবুল মুফরাদ,হা/৭১২)
বিপদাপদের দো‘আ
ইবনু আব্বাস্ (রা) বলেন, রাসূল (ছা) বিপদের সময় বলতেন,
لَآ إِلهَ إِلَّا اللهُ الْعَظِيْمُ الْحَلِيْمُ، لَآ إِلهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمُ، لَآ إِلهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ الْأَرْضِ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ.
অর্থ- আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, যিনি মহান, যিনি সহনশীল। আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই। তিনি মহান ‘আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা‘বুদ নেই। তিনি আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক এবং মহান ‘আরশের প্রতিপালক’। (ছহীহ্ বুখারী, হা/৬৩৪৫-৪৬)
অপর বর্ণনায় রয়েছে, নবী করীম (ছা) বিপদের সময়ে বলতেন,
لَآ إِلهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّلِمِيْنَ.
অর্থ- তুমি (আল্লাহ্) ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি। নিশ্চয়ই আমি অপরাধীদের অন্তর্ভূক্ত। (তিরমিযী,হা/৩৫০৫)
শত্রু এবং শক্তিধর ব্যক্তির সাক্ষাতকালে দো‘আ
আবূ মূসা আশ্‘আরী (রা) বলেন, (ছা) যখন কোন দল সম্পর্কে ভয় করতেন, তখন বলতেন,
اَللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوْذُبِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ.
অর্থ- হে আল্লাহ্! আমরা তোমাকে তাদের সম্মুখে করলাম, তুমিই তাদের দমন কর। আর তাদের অনিষ্ট হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। (আবূ দাঊদ,হা/১৫৩৭)
অপর বর্ণনায় রয়েছে, এ সময়ে রাসূল (ছা) বলতেন, حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْل.অর্থ- আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি কতইনা উত্তম কর্মবিধায়ক। (ছহীহ্ বুখারী,হা/৪৫৬৩; ছহীহ্ মুসলিম,হা/২২৭২)
অত্যাচারীর বদলা নিতে পড়তে হয়,
اَللَّهُمَّ مَتَّعْنِي بِسَمْعِي وَبَصَرِيْ وَاجْعَلْهُمَا الْوَارِثَ مِنِّي وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ يَظْلِمُنِيْ وَخُذْ مِنْهُ بِثَأْرِيْ
অর্থ- হে আল্লাহ্! আমাকে আমার কর্ণ ও চক্ষু দ্বারা উপকৃত কর এবং মরণ পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখ। যে আমার উপর অত্যাচার করে তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর এবং তার নিকট থেকে আমার জন্য প্রতিশোধ গ্রহণ কর। (সীলসীলা সহীহা, হা/৩১৭০)
কোন সম্প্রদায়ের ভয়ে ভীত হলে পড়তে হয়,
اَللَّهُمَّ اكْفِنِيْهِمْ بِمَا شِئْتَ.
অর্থ- হে আল্লাহ্! আপনার যা ইচ্ছা তা দ্বারাই এদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন। (ছহীহ্ মুসলিম, হা/৩০০৫)
পিতা-মাতার জন্য দো‘আ
নবী করীম (ছা) স্বীয় পিতা-মাতার জন্য বলতেন,
رَبَّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا.
অর্থ- হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা শৈশবকালে আমাকে লালন-পালন করেছেন। (সূরা ইসরা: ২৪)
নূহ (আ) স্বীয় পিতা-মাতা ও মু‘মিনদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন এভাবে-
رَبِّ اغْفِرْلِي وَلِوَالِدَيَّ وِلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤمِنًا.
অর্থ- হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মুমিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন। (সূরা নূহ : ২৮)
সন্তান ও স্ত্রীর জন্য দো‘আ
ইবরাহীম (আ) স্বীয় সন্তান ও পরিবারের জন্য নিম্নোক্তভাবে দো‘আ
رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُوْنَ.
অর্থ- হে আমাদের প্রতিপালক! তারা যেন ছালাত ক্বায়েম করে। মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করে দাও এবং তাদেরকে ফল-ফলাদি দ্বারা রূযী দান কর। সম্ভবত তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। (ইবরাহীম : ৩৭)
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ إِمَامًا.
অর্থ- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং সন্তানদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করুন এবং আমাদেরকে মুত্তাক্বীদের জন্য আদর্শ স্বরূপ করুন। (ফরক্বান : ৭৪)
সুসন্তান প্রার্থনার দো‘আ
رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصَّالِحِينَ.
অর্থ- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে নেক্কার সন্তান দান কর। (সূরা সফ্ফাত : ১০০)
বিদ্যা-বুদ্ধির জন্য দো‘আ
ইবনু ‘আব্বাস (রা) বলেন, নবী করীম (ছা) আমাকে তাঁর বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বললেন, اَللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْحِكْمَةَ অর্থ- হে আল্লাহ্! তুমি তাঁকে (ইবনু আব্বাসেকে) জ্ঞান দান কর। (ছহীহ্ বুখারী, হা/৩৭৫৬)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে রাসূল (ছা) বলেন, اَللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ অর্থ- হে আল্লাহ্! তুমি তাঁকে (ইবনু আব্বাসেকে) দ্বীনের বুঝ দান কর। (ছহীহ্ বুখারী, হা/১৪৩)
যে কোন বিপদে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
উম্মে সালামাহ্ (রা) বলেন, রাসূল (ছা) বলেছেন, যদি কোন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে এবং বলে,
إِنَّا ِللهِ وَ إِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ اَللَّهُمَّ اَجِرْنِي فِي مُصِيْبَتِي وَاخْلُفْ لِىْ خَيْرًا مِنْهَا.
অর্থ-আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর নিকটেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। হে আল্লাহ! আমার বিপদে আমাকে প্রতিদান দাও এবং আমাকে এর চেয়ে উত্তম বিনিময় দাও। তাহলে আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বিনিময় দান করবেন। (ছহীহ্ মুসলিম, হা/২১৬৫)
উল্লেখ্য যে, মৃত্যু সংবাদের জন্য নির্ধারিত কোন দো‘আ নেই। তবে মৃত্যু সংবাদ যেহেতু বিপদ সংবাদ, তাই এ দো‘আ পড়া হয়।
ক্রোধ দমনের দো‘আ
মু‘আয ইব্নু জাবাল (রা) বলেন, একদাদুজন লোক রাসূলুল্লাহ্ (ছা)-এর সামনে গালাগালি করতে দেখে তিনি তাদের একজনের রাগ অনুভব করে বললেন,আমি একটি কালিমা জানি, যদি সে তা বলে তাহলে ক্রোধ দূর হয়ে যাবে, তা হচ্ছে,
أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ.
অর্থ- আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। (ছহীহ্ বুখারী, হা/৬১১৫; ছহীহ্ মুসলিম,হা/২৬১০)
দু:খ-কষ্টের সময় পঠিতব্য দো‘আ
আনাস (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছা) কোন দু:খ-কষ্টের সম্মুখীন হলে বলতেন, يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ অর্থ- হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই। (তিরমিযী, হা/৩৫২৪)
চিন্তা দূর করার দো‘আ
আনাস্ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছা) চিন্তামগ্ন অবস্থায় বলতেন,
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ والْعَجْزِ وَالْكَسْلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ.
অর্থ- হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট পরিত্রাণ চাই চিন্তা, শোক, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপনতা, ঋণের বোঝা ও মানুষের জবরদস্তি হতে। (ছহীহ্ বুখারী,হা/৬৩৬৯)
জান্নাত চাওয়া ও জাহান্নাম হতে বাঁচার দো‘আ
রাসূল (ছা) বলতেন,
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ.
অর্থ- হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম হতে বাঁচতে চাই। (আবূ বাঊদ, হা/৭৯২)
Visit Our English Site : Click Here
Thanks for reading. جزاك الله خيرا